Friday, February 8, 2019

আবাসিক হোটেলগুলোর প্রতি ডিএমপি’র ৮ দফা নিরাপত্তা নির্দেশনা!

নিরাপত্তা বুলেটিন!

নিরাপত্তা জোরদার করতে রাজধানীর আবাসিক হোটেলে বোর্ডারদের এন্ট্রি করার ক্ষেত্রে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর পক্ষ থেকে আট দফা নিরাপত্তা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ।
ঢাকা মহানগরকে জঙ্গিমুক্ত করার অংশ হিসেবে ঢাকায় বসবাসরত ভাড়াটেদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। কিন্তু রাজধানীর আবাসিক হোটেলে আগতদের তথ্য সংগ্রহ, তাদের শরীর ও লাগেজ তল্লাশি ইত্যাদি কার্যক্রম সচল না থাকলে সন্ত্রাসীরা নির্বিঘ্নে আবাসিক হোটেলগুলোতে আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ পাবে।

হোটেলে কোন বোর্ডারকে এন্ট্রি করার ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত নিরাপত্তা নির্দেশনা বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ডিএমপি’র পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে:-
১. বোর্ডার এন্ট্রির সময় তার ছবি তুলতে হবে, জাতীয় পরিচয় পত্র/পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্সের কপি সংগ্রহ করতে হবে।
২. বোর্ডারের পূর্ণাঙ্গ নাম ঠিকানা এবং ফোন নাম্বার লিপিবদ্ধ করতে হবে। প্রদত্ত ফোন নাম্বারে তাৎক্ষণিক কল করে এর সঠিকতা যাচাই করতে হবে।
৩. আর্চওয়ে দিয়ে দেহ তল্লাশি করতে হবে। আর্চওয়ে না থাকলে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশির ব্যবস্থা করতে হবে। বোর্ডার যতবার হোটেলে প্রবেশ করবে ততবারই দেহ তল্লাশি করতে হবে।
৪. সকল লাগেজ, লাগেজ স্ক্যানার দিয়ে চেক করতে হবে। স্ক্যানার না থাকলে ম্যানুয়াল চেকের ব্যবস্থা করতে হবে।
৫. বোর্ডার হোটেলে অবস্থানকালে যতবার লাগেজ, ব্যাগ, মালামাল নিয়ে প্রবেশ করবে ততবারই উক্ত লাগেজ, ব্যাগ, মালামাল স্ক্যান/ম্যানুয়াল চেক করতে হবে।
৬. বোর্ডারের নিকট কোন অতিথি আসলে অনুরুপভাবে তার দেহ ও ব্যাগ তল্লাশি করতে হবে।
৭. সিসি ক্যামেরা (রাত্রিকালীন ছবি ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন) স্থাপন করতে হবে এবং হোটেলের চারপার্শ্বে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করতে হবে।
৮. ভেহিকেল স্ক্যানার দিয়ে গাড়ি চেকিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।
তথ্যসূত্রঃ ডিএমপিনিউজ
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

No comments:

Post a Comment