Thursday, February 7, 2019

পটকা খেতে সাবধান হোন। নতুবা মৃত্যুর ঝুঁকি!

সায়ানাইডের চেয়েও ভয়ঙ্কর পটকার বিষ!

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পটকা কোনভাবেই খাওয়া উচিত নয়। পটকার মধ্যে "টেকটাডোটক্সিন" নামক এক ধরণের বিষ থাকে। একটি পূর্ণাঙ্গ পটকা মাছের বিষে ৩০ জন মানুষের মৃত্যু ঘটতে পারে।
জানা যায়, পটকা এক ধরণের মাছ। আর এর বিষ সায়ানাইডের চেয়ে ১ হাজার ২০০ গুণ বেশি বিষাক্ত।
মৎস্যবিজ্ঞানীরা জানান, টেট্রাওডোনটাইড (Tetraodontidae) পরিবারের এ মাছের ইংরেজি নাম পাফার ফিশ। জাপানে পটকাকে বলা হয় ফুগু (Fugu)। বাংলাদেশে সাধারণত সাদুপানির ও লোনাপানির−এই দুই ধরনের পটকা মাছ পাওয়া যায়। সাদু পানির পটকা আকারে লোনাপানির পটকার চেয়ে অনেক ছোট হয়।
মৎস্যবিজ্ঞানীরা আরও জানান, ‘আমাদের দেশে সাদুপানিতে এ পর্যন্ত দুই প্রজাতির পটকা পাওয়া গেছে। এদের বৈজ্ঞানিক নাম টেট্রাওডন কটকটিয়া (Tetraodon cutcutia ও চেলোনোডন পাটুকা (Chelonodon patoca)। জাপান সমুদ্রে এ পর্যন্ত ২১ প্রজাতির পটকা পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ১৪ প্রজাতিই বিষাক্ত। বাংলাদেশেও সামুদ্রিক পটকার প্রজাতির সংখ্যা ২০ বা এর কাছাকাছি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পটকা খেয়ে জাপানে সবচেয়ে বেশি লোক মারা যায়। এ ছাড়া কোরিয়া, তাইওয়ান, সিঙ্গাপুর, চীন, মেক্সিকো, বাংলাদেশসহ অনেক দেশে এই মাছ খেয়ে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। জাপানিদের কাছে এটি অত্যন্ত সুস্বাদু ও অভিজাত খাবার। অনেক জাপানি পটকাকে কাজের উদ্যম সৃষ্টির প্রতীক হিসেবে মনে করে। তবে কেবল লাইসেন্সধারী অভিজ্ঞ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান প্রক্রিয়াজাত করে এই মাছ বিক্রি করে থাকে।
তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

No comments:

Post a Comment