Thursday, August 22, 2019

ভেঙ্গু প্রতিরোধে সম্মিলিতভাবে যা যা করতে হবে!


ডেঙ্গু প্রতিরোধে সরকারি বার্তাসমূহ—
* পিডিএফ বই পড়তে এখানে–ক্লিক–করুন
* ভিডিও দেখতে এখানে–ক্লিক–করুন
* সরকারি দপ্তরের ফেসবুক পোস্ট পড়তে এখানে–ক্লিক–করুন

সচেতন থাকুন | স্কুল অব অ্যাওয়ারনেস

Monday, July 29, 2019

ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গু, প্রতিরোধে করণীয়→

(সংগৃহীত)

জেনে নিন, সাম্প্রতিক ডেঙ্গুর প্রকোপ ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমাদের করণীয় সম্পর্কে।

ভালো থাকুন | School of Awareness

ছেলেধরা গুজব ও আমাদের চলাফেরায় সতর্কতা!


নিরাপদ থাকুন:
১. কিছুদিন অপরিচিত এলাকায় যাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
২. অপরিচিত এলাকায় গেলে এক জায়গায় দাড়িয়ে এদিক সেদিক উদভ্রান্তের মতো তাকানো থেকে বিরত থাকুন।
৩. কাউকে খুঁজতে গেলে তার সাথে পূর্বেই যোগাযোগ করে নিন, সারপ্রাইজ দিতে কিংবা কোন কারণেই না জানিয়ে যাবেন না।
৪. নিজের বাচ্চাকে তার মাকে ছাড়া কোথাও নিয়ে যাবেন না। বিশেষ করে যেসব বাচ্চারা ছিঁচ কাঁদুনে এবং খালি বায়না ধরে তাদের নিয়ে কয়েকটা দিনের জন্য দূরত্বে বের হবেন না।
৫. যদি চাকরিজীবী হন, তবে প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ড সাথে রাখুন, প্রয়োজনে অপরিচিত এলাকায় গেলে গলায় ঝুলিয়ে রাখুন।
৬. কেউ কিছু জিজ্ঞেস করলে থতমত খাবেন না, কনফিডেন্ট/ সহজভাবে উত্তর দিন। ভাব নিতে যাবেন না।
৭. পথে ঘাটে কারো সাথে উটকো ঝামেলায় জড়াবেন না।
৮. এ ধরণের ঘটনা দেখলে নিরাপদ দুরত্বে গিয়ে পুলিশকে জানান।
৯. যদি আপনি কোন এলাকায় নতুন হোন (আপনাকে যদি কেউ না চিনে থাকে) তাহলে কর্মক্ষেত্র থেকে সরাসরি বাসায় চলে আসুন।
১০. সর্বোপরি, এ অবস্থার দ্রুতই অবসান হবে আশা করি। তাই আতঙ্কিত হবেন না।

(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন  | School of Awareness

Saturday, April 20, 2019

ভয়ংকর শক্তি নিয়ে এগিয়ে আসছে মানববিধ্বংসী দৈত্য 'এন্টিবায়োটিক রেজিস্টান্ট' ব্যাকটেরিয়া!


আজ আপনাদের একটা ভয়ংকর কথা বলব। যে লেখাটা লিখতে বসেও আমি ভয় পাচ্ছি। আমার হাত কাঁপছে। একজন ফেসবুক স্ট্যাটাস দেওয়া তথাকথিত সেলিব্রেটি, গল্পলেখক মানুষের বাইরে আমি একজন ডাক্তার। আমার ডাক্তারি চোখে আমি যা দেখছি, নন-ডাক্তার অনেকেই হয়তো সেটা দেখতে পাচ্ছেন না। কারণ যা আমাদের মস্তিষ্কে নেই, তা আমরা কখনোই ভাবতে পারি না। এই দৃশ্য শুধু একজন ডাক্তারই দেখতে পায়।
স্ট্যাটাসের ছবিটা হচ্ছে পৃথিবী থেকে মানবজাতি বিলুপ্তির সত্যয়িত সনদপত্র। এই সনদ দিয়েছে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ মেডিকেল মহীরুহ, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল ইউনিভার্সিটি (পিজি হাসপাতাল)। ছবিতে আপনি নিতান্তই কিছু বর্ণ আর শব্দ দেখতে পাচ্ছেন। আমি সেটাকে বর্ণনা করবার পর আপনি বুঝে ফেলবেন-আপনি আর মাত্র কয়েকদিন পৃথিবীতে আছেন। মাত্র পঞ্চাশ বছরের মধ্যে পুরো মানবজাতি বিলুপ্ত হয়ে যাবে। আপনার সাথে আপনার বাবা মা, সন্তান সবাই অতীত হয়ে যাবে। মিলিয়ন বছরের মানবজাতি পৌছেছে সিঁড়ির শেষ ধাপটাতে। আর কোন ধাপ নেই। চাইলেও একধাপ একধাপ করে আর নামার পথ নেই। এখন পড়ে যেতে হবে। মানবজাতিকে হারিয়ে যেতে হবে মহাকালের চোরাস্রোতে।
ছবির রিপোর্টটিকে বলা হয়-ব্লাড কালচার। যখন কোন রোগ সনাক্ত করবার পরেও ঔষুধে ভালো হয় না, তখন আমরা ব্যাকটেরিয়াযুক্ত রক্তকে ল্যাবরেটরিতে পাঠাই। উদ্দেশ্য হল- কেন অতি সাধারণ একটা অসুখও ঔষুধ দিয়েও রোগ ভালো হচ্ছে না। ল্যাবে মাইক্রোবায়োলজিস্টরা সেই রক্তকে কয়েকদিন চাষ করেন। সেখানকার ব্যাকটেরিয়াদের উপর বিভিন্ন প্রকার এন্টিবায়োটিক দিয়ে দেখেন, সেই এন্টিবায়োটিক ব্যাকটেরিয়াগুলোকে মেরে ফেলতে সক্ষম কী না!
যদি মারতে পারে তখন সেই এন্টিবায়োটিকের পাশে লেখা হয়- S (S for Sensitive). সেন্সিটিভ শব্দের অর্থঃ ঐ এন্টিবায়োটিকটি ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতে সক্ষম। যদি না পারে তখন আমরা লিখি- R (R for Resistant). অর্থঃ এখন আর এই এন্টিবায়োটিকটি ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতে সক্ষম নয়। আগে কাজ করলেও ব্যাকটেরিয়া নিজেকে বদলে ফেলেছে। ফলে একই অস্ত্র (এন্টিবায়টিক) দিয়ে ব্যাকটেরিয়াটিকে মেরে ফেলা যাচ্ছে না।
এতে কী দাঁড়ায়?
অতি সাধারণ রোগও আর এন্টিবায়োটিক দিয়ে সারবে না। রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়াটি এখন ইচ্ছেমত বাচ্চাকাচ্চা দিতে পারবে। আপনার শরীরে রোগ সৃষ্টি করে বহাল তবিয়তে বেঁচে থাকবে। আপনি আমি শুধু দেখব দর্শক হয়ে দেখব। এরপর সব সাঙ্গ হবে। একদিন সেই ছোট্ট অসুখটা নিয়েই মানুষটা মারা যাবে।
উপরের ছবিতে দেখুন- রোগীর লিঙ্গ ছেলে। বয়স শুনলে চমকে যাবেন। বয়স মাত্র ৪ বছর। অথচ সব এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট। অর্থাৎ ছেলেটা নিরীহ একটা রোগ নিয়ে এসেছে। ঔষুধ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রোগ সারছে না। এখন কী ঘটবে?
আমরা তাকে আর বাঁচাতে পারব না। ছেলেটা নিশ্চিত মারা যাবে। অথচ আমাদের হাতে শতশত এন্টিবায়োটিক। আমরা চাইলেও প্রয়োগ করে আর ব্যাকটেরিয়াগুলোকে মারতে পারব না। কারণ ব্যাকটেরিয়া নিজের ডিএনএ-কে নিজেনিজেই পরিবর্তন করে ফেলেছে। ফলে সামান্য ব্যাকটেরিয়া মারার জন্য আমাদের হাতে আর কিছু নেই। বাচ্চাটির বাবা মা চেয়ে চেয়ে দেখছে ছেলেটার অকাল মৃত্যু। অথচ তার বয়স মাত্র ৪ বছর। এত অল্পবয়সে নিশ্চয় সে নিজের মৃত্যুর জন্য দায়ী নয়।
দায়ী কারা?
আমরা।
আমাদের সামান্য জ্বর হয়। ফার্মেসীতে গিয়ে দুটো জিম্যাক্স (অ্যাজিথ্রোমাইসিন) খেয়ে ফেলি। একশ ব্যাকটেরিয়াকে মারার জন্য যদি সাত দিনের ডোজ লাগত, আমরা দুইদিন পর ভালো হলে আর ডোজটা পূর্ণ করি না। ৭০ টা ব্যাকটেরিয়া মরলেও বেঁচে থাকা বাকী ৩০ টি ব্যাকটেরিয়া জি-ম্যাক্সকে চিনে ফেলে। ফলে তারা নিজেদের গঠন দ্রুত বদলে ফেলে। তখন আর জি-ম্যাক্স দিয়েও পরেরবার আমরা রোগ সারাতে পারব না। কারণ জি-ম্যাক্সের বিরুদ্ধে সব ধরণের স্থায়ী ব্যবস্থা ব্যাকটেরিয়া নিয়ে ফেলেছে।
এখন এই ব্যাকটেরিয়াওয়ালা মানুষটি যদি আমাদের সামনে আসে, বসে, তার নিঃশ্বাস-হাঁচি-স্পর্শে আমাদের শরীরে জি-ম্যাক্স রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়াটি আমাদের শরীরেও চলে আসে। ফলে কী দাঁড়াল?
কেউ একজন নিজের শরীরে রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়ার জন্ম দিলে। আর আমরা কোনোদিন জি-ম্যাক্স না খেয়েও জি-ম্যাক্সের বিরুদ্ধে রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়া দিয়ে নিজেদের শরীর ভরিয়ে ফেললাম। এইভাবে জি-ম্যাক্স রেজিস্টেন্ট ব্যাকটেরিয়া লাখ লাখ কোটি কোটি মানুষের দেহে সঞ্চারিত হবে। একটা নবজাতক যে কিনা গতকাল জন্মাল সেও আপনার ভুলের কারণে একটা রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়াকে নিজের শরীরে ধারণ করল। আপনি যে বাড়িতে থাকেন সেই বাড়ির বাসিন্দা, যে মেসে থাকেন সেই মেসের বোর্ডার, যে নদীতে পা চুবাবেন সেই নদীর অনুকূলের বাসিন্দারাও হয়ে গেল জি-ম্যাক্স রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়ার অভয়ারন্য সম্পন্ন শরীরের মানুষ।
শুধু জি-ম্যাক্স কেন?
আমাদের কেউকেউ অন্য রোগে আক্রান্ত হয়ে অন্য এন্টিবায়োটিক খাবে। আরেকটি ঔষুধের রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়া তৈরি করবে। সে রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়া ভাগাভাগি করবে সারাদেশের মানুষের সাথে। যেখানেই যাবে, যেখানটায় স্পর্শ করবে, সেখানেই হাচি দিবে, যেখানেই বসবে, যেখানেই খাবে সেখানেই ছড়িয়ে দিবে রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়া। এভাবে একটা একটা করে সব ব্যাকটেরিয়া আরেকটি ব্যাকটেরিয়ার কাছ থেকে এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট শিখে ফেলবে। ফলে সবার কাছ থেকে একটা একটা করে ধার করেও আমাদের দেহের ব্যাকটেরিয়াগুলো হয়ে যাবে সকল এন্টিবায়োটিকের রেজিস্ট্যান্ট। তাকে এখন যে ঔষুধই দিন না কেন, কাজ করবে না। ফলে আপনি ঔষুধের ডিসপেনসারিতে কোটিকোটি টাকার ঔষুধ রেখেও বিনা চিকিৎসায় মারা যাবেন।
ছবির ছেলেটার মত আমার মোবাইলে প্রায় ৩০০ টি মানুষের রিপোর্ট আছে। আমি দীর্ঘ এক বছর থেকে বিভিন্ন ডাক্তারের পোস্ট থেকে রিপোর্টগুলো ডাউনলোড করে সঞ্চয় করছি। যারা সব ধরণের ব্যাকটেরিয়ায় রেজিস্ট্যান্ট। তারা যত ধনীই হোক, দুনিয়ার যে দেশেই চিকিৎসা করাক, যে ঈশ্বরের কাছেই নিজেকে সমর্পণ করুক, সে আর ফিরবে না। তার মৃত্যু অনিবার্য!
ভয়ের কথাটা তাহলে কোথায়?
আপনার শরীর থেকে রক্ত নিয়ে কালচারে পাঠান। দেখুন আপনি নিজেও অলরেডি অর্ধেক এন্টিবায়োটিকের রেজিস্ট্যান্টওয়ালা ব্যাকটেরিয়া নিয়ে বেঁচে আছেন।
আরো ভয়ের কথা কোথায় জানেন?
যে ৩০০ জন মানুষ রেজিস্ট্যান্ট, তাদের ঘরের বাবা-মা সন্তান বন্ধুবান্ধবের অনেকেই অলরেডি রেজিস্ট্যান্ট হয়ে গেছে। কেউ অতি উৎসাহী হয়ে নিজের রক্ত কালচারের জন্য যেদিন হাসপাতালে আসবে সেদিনই তারা ধরে ফেলবে নিজের অজান্তেই এইডসের চাইতেও ভয়ানক একটি ব্যাপার নিয়ে সে এতদিন বেঁচে ছিল। আজ থেকে তার মৃত্যুর কাউন্ট ডাউন শুরু।
কেন এইডসের চাইতে ভয়ানক বললাম?
আপনি একজন এইডস আক্রান্ত রোগীকে আইসোলেট করলেই সে এইডস ছড়াতে পারবে না। কিন্তু একজন রেজিস্ট্যান্ট লোককে আপনি কীভাবে আইসোলেট করবেন? ব্যাকটেরিয়া শুধু হাঁচিতে ছড়ায় না। প্রস্রাবে ছড়ায়-পায়খানায় ছড়ায়, স্পর্শের ছড়ায়। তারা পানির মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, খাবারের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। স্পর্শের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তারা মাটিতে থাকে। বাসের সিটে থাকে। রেস্টুরেন্টের গ্লাসে থাকে। ক্লাশের চেয়ারে থাকে। বন্ধুর কলমে থাকে, প্রেমিকের মোবাইল ফোনের গায়ে লেগে থাকে, প্রেমিকার ঠোঁটে থাকে। তারা বাতাসে ভেসে থাকে। মাটিতে পড়ে থাকে। মাটির নিচে কলোনি করে থাকে। আপনি কোথায় গিয়ে বাঁচবেন?
আমাদের শরীরের ব্যাকটেরিয়া যে হারে রেজিস্ট্যান্ট হচ্ছে, সেই হারে এন্টিবায়োটিক তৈরি হচ্ছে না। আমাদের জীবনরক্ষাকারী প্রথম এন্টিবায়োটিক পেনিসিলিন আবিষ্কৃত হয় ১৯৪০ সালে। সবচেয়ে ক্ষমতাধর এন্টিবায়োটিক মেরোপেনেম প্যাটেন্টেড হয় ১৯৮৩ সালে। এর মাঝামাঝি সময়টায় আমরা মৎস্যবহুল নদীতে মাছ শিকারের মত হাজার হাজার এন্টিবায়োটিক আবিষ্কার করে ফেলেছি। কিন্তু ৮৩ এর পর, মেরোপেনেমের মত আর কোন শক্তিশালী এন্টিবায়োটিক পৃথিবীতে আসেনি।
অথচ ছবিতে দেখুন- ৪ বছরের বাচ্চা ছেলেটির ব্যাকটেরিয়াটি সব ধরণের এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট। মেরোপেনেম সহ (Imipenem)। বাচ্চাটি বেঁচে আছে নাকি অলরেডি মারা গেছে আমার জানা নেই। কিন্তু সে আপনাদের দোষে পৃথিবী থেকে চলে যাচ্ছে। সে কি আমাদের ছেড়ে দিবে? তার শরীর থেকে রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়া অবশ্যই অনেকের শরীরে (তার বাবা মা-সহ) ছড়িয়ে দিয়ে গেছে। দায়মুক্তি আমাদের হবে। পুরো মানবজাতি নিশ্চিহ্ন হবার পর আমাদের দায়মুক্তি ঘটবে।
প্রায়ই বিজ্ঞানীরা বলেন- পৃথিবী চলে যাবে ভীনগ্রহীদের হাতে। এলিয়েনরা পরবর্তী রাজত্ব করবে। বিলিভ মি- এলিয়েন আসার নিশ্চয়তা না থাকলেও এই পৃথিবীর পরবর্তী বাসিন্দা হবে নিতান্তই সাধাসিধে ব্যাকটেরিয়া। লক্ষ লক্ষ বছর সে আমাদের দেহে নিরীহ বসে ছিল। আমরাই তাকে শিখিয়ে ফেলেছি কীভাবে আমাদের দেহে বসেই আমাদের হত্যা করা যায়। আমরা কখনো শিম্পাঞ্জি, কখনো ডলফিন, কখনো হাতি ঘোড়া কুকুরকে বলি মানুষের পরে বুদ্ধিমান প্রাণী। আমরা কখনো বলি না, আমাদের চাইতে কে বেশি বুদ্ধিমান! ব্যাকটেরিয়া মাইক্রোস্কোপিক হয়েও হাত পা না থাকা স্বত্বেও, মস্তিষ্ক না পেয়েই শিখে ফেলল কীভাবে মানুষদের হত্যা করতে হয়! ভাবুন- কে বেশি বুদ্ধিমান?
বাঁচার উপায়?
শুনতে আপনার খুব খারাপ লাগবে কিন্তু আমাকে বলতেই হবে। আজ এই মুহূর্তে এই মিনিটটা শেষ হবার আগেই প্রধানমন্ত্রীকে সংসদে না গিয়েই অফিশিয়াল মিটিং না ডেকেই বলতে হবে- এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্টেন্সির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। দেশের প্রত্যেকটা দোকান-ফার্মেসী-প্রেসক্রিপশন গোয়েন্দা দিয়ে খুঁজে বের করে নতুন করে এক পৃথিবী শুরু করতে হবে। প্রত্যেকটা এন্টিবায়োটিকের গায়ে সাটিয়ে দিতে হবে মোবাইলের মতো IMEI নাম্বার। কোন কোম্পানি বাজারে কয়টা ছেড়েছে, কোন ডাক্তার কয়টা প্রেসক্রিপশন করেছে, কোন রোগী কয়টা খেয়েছে সব হিসেব বের করতে হবে। না পারলেও আগামীকাল থেকে কীভাবে এন্টিবায়োটিক বিক্রি হবে, কীভাবে প্রেসক্রিপশন হবে, কীভাবে রোগী খাবে সেটা নির্ধারণ করতে হবে। যক্ষা নির্মুলের জন্য আমরা DOT প্রোগ্রাম শুরু করেছিলাম। প্রতিদিন সকালে স্বাস্থ্যকর্মী যক্ষা রোগীর বাসায় যাবে। রোগীকে ঔষুধ দিবে। রোগী সেটা স্বাস্থ্যকর্মীর সামনেই খাবে। এন্টিবায়োটিক খাওয়া DOT এর আন্ডারে আনতে হবে। অন্য কোন উপায় নেই।
খুব বেশি নিজেদের বাঁচাতে চাইলে, ফর গ্রেটার গুড... ধর্ষকদের মতোই বিচারবহির্ভূত ক্রসফায়ার চালু করতে হবে, যে লোকটি প্রেসক্রিপশন ছাড়া ঔষুধ বিক্রি করবে, যে ফার্মেসীম্যান মহাজ্ঞানী জাহির করে আপনাকে এন্টিবায়টিক বদলে দিবে, নতুন ডোজ বাতিয়ে দিবে, যে রোগীটি অসম্পূর্ণ ডোজ এন্টিবায়োটিক খাবে তাকেও ক্রসফায়ারের আওতায় আনতে হবে। কারণ অসুস্থ রোগীটিই অসম্পুর্ণ ডোজ খেয়ে আরেকটি রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়ার জন্ম দিচ্ছে। নিজের মৃত্যুর সাথে পুরো মানবজাতিকে নিশ্চিহ্ন করবার কাজটি সেও করছে। এককোটি অজ্ঞ, ঘাড়ত্যাড়া এন্টিবায়োটিক ইউজারের বিনিময়ে হলেও বাকী ১৯ কোটি লোককে বাঁচাতে হবে।
সমস্ত আইনশৃংখলা বাহিনী সমস্ত চোর ডাকাত-ধর্ষক সব ছেড়ে পথে নামতে হবে। এইডসে পৃথিবী বিলুপ্ত হবে না। সোয়াইন ফ্লু, বার্ড ফ্লুতে মানবজাতি নিশ্চিহ্ন হবে না কিন্তু এন্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস পড়া শেষ হবার সাথে সাথে যদি আপনি বুকে হাত বাদ দিয়ে নিজের ধর্মগ্রন্থের উপর হাত রেখে প্রতিজ্ঞা না করেন, তাহলে মনে রাখবেন আপনি বেঁচে থাকবেন না আগামী পঞ্চাশ বছরে। আপনার অনাগত সন্তান বেঁচে থাকবে না ২০৭০ সাল দেখবার জন্য।
Do you believe my Status?
Who cares?
Fight or Die.
Choice is yours!
• আমি অপ্রয়োজনে এন্টিবায়োটিক খাই না।
• খেলেও ডাক্তারের কথা বিশ্বাস করে ফুলডোজ খাই।
• ফার্মেসীর কথা শুনে এন্টিবায়টিক বদলাই না, ডোজ কমাই না।
লেখাঃ ডা. রাজীব হোসাইন সরকার।

('সাদা এপ্রোন' ফেসবুক পেজ হতে সংগৃহীত; মূল লেখাটি দেখতে এখানে—ক্লিক—করুন)।

ভালো থাকুন | School of Awareness

Tuesday, February 12, 2019

এসএসসি কিংবা এইচএসসি ফরমপূরণে বেশি টাকা নিলে করনীয়!


শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে SSC কিংবা HSC পরীক্ষার ফরমপূরণে বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত ফি এর চেয়ে বেশি টাকা নিলে ১০৬ তে কল করে দুদক টিম কে অবহিত করুন। বিস্তারিত তথ্য ফটো পোস্টে→

ভালো থাকুন | School of Awareness

বাজারের কৃত্রিম মেহেদি ব্যবহারে সতর্ক থাকুন!


প্রথমে ছবিটি দেখুন; হাত-পায়ের এই অবস্থা! বাজারের আর্টিফিশিয়াল মেহেদি'র সঙ্গে স্কিনের প্রতিক্রিয়াজনিত কারনে এমনটি হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন চিকিৎসা নেবার জন্য। জীবন বাঁচানোর জন্য মেয়েটির চার হাত-পা কেটে ফেলতে হয়েছে।

দয়াকরে এইসব টিউব মেহেদি সম্পর্কে সাবধান থাকুন। 
ছবিটি দিয়ে আমাদের কৃতার্থ করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনেরাল ডা. এম এ শহীদ খান (রিটায়ার্ড)।
(সংগৃহীত)

অনুগ্রহ করে তথ্যটি শেয়ার করুন।

ভালো থাকুন | School of Awareness

MCI এর ছদ্মবেশী ISI গ্রুপ হতে সতর্ক থাকুন, জেনে নিন বিস্তারিত→


যদি কেউ বাড়িতে এসে বলে যে তারা MCI (Medical Council of India) থেকে এসেছে একটা সমীক্ষা করতে যে— সারা ভারতবর্ষে কত লোকের ব্লাড সুগার আছে সেটা জানার জন্য তারা সরকারিভাবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ব্লাড টেস্ট করতে এসেছে। ID কার্ড দেখালেও কিছু টেস্ট করতে দেবেন না।
কিছু ISI জঙ্গী এগুলো করছে আর HIV ভাইরাসের জীবানু ইনজেকশন দিয়ে দিচ্ছে লোকের শরীরে। এরকম হলে থানায় ফোন করে জানান। তথ্যটি শেয়ার করুন।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

Friday, February 8, 2019

আবাসিক হোটেলগুলোর প্রতি ডিএমপি’র ৮ দফা নিরাপত্তা নির্দেশনা!

নিরাপত্তা বুলেটিন!

নিরাপত্তা জোরদার করতে রাজধানীর আবাসিক হোটেলে বোর্ডারদের এন্ট্রি করার ক্ষেত্রে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর পক্ষ থেকে আট দফা নিরাপত্তা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ।
ঢাকা মহানগরকে জঙ্গিমুক্ত করার অংশ হিসেবে ঢাকায় বসবাসরত ভাড়াটেদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। কিন্তু রাজধানীর আবাসিক হোটেলে আগতদের তথ্য সংগ্রহ, তাদের শরীর ও লাগেজ তল্লাশি ইত্যাদি কার্যক্রম সচল না থাকলে সন্ত্রাসীরা নির্বিঘ্নে আবাসিক হোটেলগুলোতে আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ পাবে।

হোটেলে কোন বোর্ডারকে এন্ট্রি করার ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত নিরাপত্তা নির্দেশনা বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ডিএমপি’র পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে:-
১. বোর্ডার এন্ট্রির সময় তার ছবি তুলতে হবে, জাতীয় পরিচয় পত্র/পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্সের কপি সংগ্রহ করতে হবে।
২. বোর্ডারের পূর্ণাঙ্গ নাম ঠিকানা এবং ফোন নাম্বার লিপিবদ্ধ করতে হবে। প্রদত্ত ফোন নাম্বারে তাৎক্ষণিক কল করে এর সঠিকতা যাচাই করতে হবে।
৩. আর্চওয়ে দিয়ে দেহ তল্লাশি করতে হবে। আর্চওয়ে না থাকলে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশির ব্যবস্থা করতে হবে। বোর্ডার যতবার হোটেলে প্রবেশ করবে ততবারই দেহ তল্লাশি করতে হবে।
৪. সকল লাগেজ, লাগেজ স্ক্যানার দিয়ে চেক করতে হবে। স্ক্যানার না থাকলে ম্যানুয়াল চেকের ব্যবস্থা করতে হবে।
৫. বোর্ডার হোটেলে অবস্থানকালে যতবার লাগেজ, ব্যাগ, মালামাল নিয়ে প্রবেশ করবে ততবারই উক্ত লাগেজ, ব্যাগ, মালামাল স্ক্যান/ম্যানুয়াল চেক করতে হবে।
৬. বোর্ডারের নিকট কোন অতিথি আসলে অনুরুপভাবে তার দেহ ও ব্যাগ তল্লাশি করতে হবে।
৭. সিসি ক্যামেরা (রাত্রিকালীন ছবি ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন) স্থাপন করতে হবে এবং হোটেলের চারপার্শ্বে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করতে হবে।
৮. ভেহিকেল স্ক্যানার দিয়ে গাড়ি চেকিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।
তথ্যসূত্রঃ ডিএমপিনিউজ
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

Thursday, February 7, 2019

পটকা খেতে সাবধান হোন। নতুবা মৃত্যুর ঝুঁকি!

সায়ানাইডের চেয়েও ভয়ঙ্কর পটকার বিষ!

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পটকা কোনভাবেই খাওয়া উচিত নয়। পটকার মধ্যে "টেকটাডোটক্সিন" নামক এক ধরণের বিষ থাকে। একটি পূর্ণাঙ্গ পটকা মাছের বিষে ৩০ জন মানুষের মৃত্যু ঘটতে পারে।
জানা যায়, পটকা এক ধরণের মাছ। আর এর বিষ সায়ানাইডের চেয়ে ১ হাজার ২০০ গুণ বেশি বিষাক্ত।
মৎস্যবিজ্ঞানীরা জানান, টেট্রাওডোনটাইড (Tetraodontidae) পরিবারের এ মাছের ইংরেজি নাম পাফার ফিশ। জাপানে পটকাকে বলা হয় ফুগু (Fugu)। বাংলাদেশে সাধারণত সাদুপানির ও লোনাপানির−এই দুই ধরনের পটকা মাছ পাওয়া যায়। সাদু পানির পটকা আকারে লোনাপানির পটকার চেয়ে অনেক ছোট হয়।
মৎস্যবিজ্ঞানীরা আরও জানান, ‘আমাদের দেশে সাদুপানিতে এ পর্যন্ত দুই প্রজাতির পটকা পাওয়া গেছে। এদের বৈজ্ঞানিক নাম টেট্রাওডন কটকটিয়া (Tetraodon cutcutia ও চেলোনোডন পাটুকা (Chelonodon patoca)। জাপান সমুদ্রে এ পর্যন্ত ২১ প্রজাতির পটকা পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ১৪ প্রজাতিই বিষাক্ত। বাংলাদেশেও সামুদ্রিক পটকার প্রজাতির সংখ্যা ২০ বা এর কাছাকাছি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পটকা খেয়ে জাপানে সবচেয়ে বেশি লোক মারা যায়। এ ছাড়া কোরিয়া, তাইওয়ান, সিঙ্গাপুর, চীন, মেক্সিকো, বাংলাদেশসহ অনেক দেশে এই মাছ খেয়ে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। জাপানিদের কাছে এটি অত্যন্ত সুস্বাদু ও অভিজাত খাবার। অনেক জাপানি পটকাকে কাজের উদ্যম সৃষ্টির প্রতীক হিসেবে মনে করে। তবে কেবল লাইসেন্সধারী অভিজ্ঞ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান প্রক্রিয়াজাত করে এই মাছ বিক্রি করে থাকে।
তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

Wednesday, February 6, 2019

সাবধান, এসেছে বিষাক্ত একপ্রকার ঘাতক প্রজাপতি!


বাংলাদেশে সম্প্রতি দেখা দিয়েছে এক প্রজাতির বড় আকারের প্রজাপতি যা মানুষের জন্য প্রাণঘাতী। শখের বসে এই জাতের প্রজাপতির কাছে যাওয়া, ধরতে যাওয়া ইত্যাদি থেকে বিরত থাকুন। ছবিতে দেখুন বিস্তারিত।

ভালো থাকুন | School of Awareness

Friday, February 1, 2019

সাম্প্রতিক হুমকি "প্যারাসিটামল P-500"!


একটু সাবধানতা অবলম্বন করি!
বাজারে "প্যারাসিটামল P-500" নামের নতুন একটি ট্যাবলেট এসেছে যাতে "ম্যাচাপু" নামের মারাত্মক এক ভাইরাস পাওয়া গেছে। ঔষুধটি খাবার পর পরই আপনার শারীরিক অবকাঠামো এবং পুরো শরীরটাতে পচন ধরে যাবে।

জনস্বার্থে তথ্যটি পরিবার পরিজনদের জানানোর অনুরোধ রইলো। সেই সঙ্গে আপনার নিকটস্থ ঔষুধের দোকানগুলো পর্যবেক্ষন করেন যাতে এমন ঔষুধ কেউ বিক্রি করতে না পারে।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

Thursday, January 31, 2019

স্বাস্থ্যের নতুন হুমকি 'চিকনগুনিয়া' ভাইরাস; এটি বহন করছে এডিস মশা!


এই ভাইরাস এক মারাত্মক হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে; এর লক্ষণ ও আমাদের করনীয় কী তা জানতে বিস্তারিত পড়ুন ও সতর্ক হোন।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

Monday, January 28, 2019

এরূপ কিছু দেখলে বুঝবেন এটা বার্ড-ফ্লু!


যেকোনো ধরনের মুরগীর চামড়া ছড়ানোর পর যদি এমন কিছু (চিত্রে প্রদর্শিত) দেখে থাকেন তাহলে মুরগীটা খাবেন না, কারণ এটা মারাত্মক বার্ড-ফ্লু!
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

Wednesday, January 23, 2019

Preface to Awareness Bulletin!


স্কুল অব অ্যাওয়ারনেস এর "বুলেটিন" বিভাগে বিভিন্ন সাম্প্রতিক সচেতনতার বুলেটিন পাবেন।